লামা প্রতিনিধি 20 March, 2021 09:48 AM
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় শাপলু মোহর (৩২) আত্নহত্যা করেছেন। ডিউটিরত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের কোনও এক সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি নির্জন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেন তিনি। শাপলু মোহর বান্দরবান সদর উপজেলার বাঘমারা গ্রামের হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা সুবল মোহরের ছেলে।
সূত্র জানায়, শাপলু মোহর ও তার স্ত্রী আঁকি দাশ লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে পৌরসভা এলাকার মধুঝিরিস্থ একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী আঁখি দাশের সাথে শাপলু মোহরের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটি করতে যায় শাপলু মোহর। এর পরপর অনেকবার স্ত্রী আঁখি দাশ শাপলু মোহরের মোবাইল ফোনে রিং দিলেও রিসিভ হয়নি।
পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার একটি নির্জন কক্ষে শাপলু মোহরের লাশ ঝুলাতে দেখে পুলিশে খবর দেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
শাপলু মোহরের বেশ কয়েকজন সহকর্মী বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে শাপলু মোহর ও স্ত্রী আঁখি দাশের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তাদের এ ঝগড়া বিবাদের কারণে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মহি উদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ওয়ার্ডে শাপলু মোহর ও স্ত্রী আঁখি দাশের ডিউটি ছিল। কিন্তু শাপলু মোহর ডিউটিতে আসলেও আঁখি দাশ ডিউটিতে আসেনি। এক পর্যায়ে রাত ১১টার পর শাপলু মোহরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের একটি নির্জন কক্ষে শাপলু মোহরকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শাপলু মোহরের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
-জেড