রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 26 January, 2021 12:01 PM
মাত্র ৯৯ দিন। প্রায় সাড়ে ৩ মাস সময়। এত অল্প সময়ে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। তার নাম ইয়াসিন আব্দুল্লাহ। সে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড়ের জামিআ দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার ছাত্র।
আব্দুল্লাহর পিতা শাহআলম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। মাতা গৃহিণী শাহিনুর বেগম। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার দুগাছিয়া গ্রামে হলেও জীবিকার টানে সে সপরিবারে ভূইগড়েই বসবাস করে। একটি ছেলে একটি মেয়ে নিয়েই তার সংসার। ইয়াসিন আব্দুল্লাহর বড় বোন সুমাইয়্যা আক্তার লামিয়াও দাওয়াতুল কুরআনের বালিকা শাখা উম্মে মুআয তালীমুন্নিসা মাদরাসার ছাত্রী।
শিশুটির পিতা শাহ আলম বলেন, ‘আমার আশা ছিল, ছেলেকে পবিত্র কুরআনের হাফিয বানানোর। মহান রব আমার সেই আশা পূরণ করেছেন। এখন আমার পরিবারের সকলের ইচ্ছা সে যেন বড় হক্কানী আলিম হতে পারে।’
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মামূনুর রশীদ গত রোববার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, এই জামিআর ইতিহাসে ইয়াসিন আব্দুল্লাহ-ই সর্বকনিষ্ঠ এবং অতি অল্প সময়ে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ কারী কীর্তিমান শিশু। এই বিষ্ময়কর অর্জনের পিছনে হিফয বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
মামূনুর রশীদ আরও বলেন, ‘পবিত্র কুরআন এই উম্মতের গৌরব। তা মুখস্থ করা, শিক্ষা করা, প্রচার করা এবং মান্য করা সব কিছুতেই গৌরব নিহীত রয়েছে। অনেক মানুষ ধন দৌলত আর মেধাবী সন্তান নিয়ে গর্ববোধ করে, কিন্তু ইয়াছিন আব্দুল্লাহর মতো কীর্তিমান সন্তানের গর্বিত পিতা হওয়ার সৌভাগ্য কয়জন অর্জন করতে পারে?’
প্রসঙ্গত, সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করতে দেশের মাদরাসাগুলোতে সাধারণত ৩-৫ বছর সময় লাগে। যেখানে মাত্র ৩ মাসে একটি শিশুর পুরো কোরআন মুখস্ত করা বিস্ময়কর ঘটনা। ধর্মপ্রাণ মানুষ এটাকে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত-নিদর্শন হিসেবে মনে করে থাকেন।
-জেড