নিজস্ব প্রতিনিধি 13 December, 2020 03:31 PM
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মুহতারাম আমীর আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং ঢাকা মহানগর আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা ফরহাদ আলম।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) সংবাদপত্রের প্রেরিত এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বাংলাদেশের ইসলামী আকাশের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইসলামী শিক্ষার প্রচার প্রসার, আদর্শ ন্যায়নিষ্ঠ আলেম তৈরি এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অভিস্মরণীয় ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি দেশ-জাতির বিভিন্ন সংকট কালে দিকনির্দেশনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতির কঠিন এই ক্রান্তিকালে তাঁর মতো একজন অভিভাবক ব্যক্তিত্বের ইন্তেকাল বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। যা কখনোই পূরণ হবার নয়। ইসলামিক শিক্ষাঙ্গন, ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্র একটি গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হল। আমরা তাঁর ইন্তেকালে গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, শিষ্য ও ভক্ত অনুরক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী গত ১ ডিসেম্বর ঠাণ্ডাজনিত কারণে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়। সন্দেহ থেকে পরীক্ষা করানো হয় করোনা। তবে কয়েক দফা পরীক্ষা করে তার করোনা নেগেটিভ আসে।
এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে প্রথমে হাই ডিপেন্ডসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়। পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে রাত ৮টায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
পরে (১১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনও স্বাভাবিক হয়। কিন্তু দুপুরের পর তার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি ঘটে। এবং আজ দুপুর ১টার দিকে তার ইন্তিকাল হয়।