| |
               

মূল পাতা মুসলিম ঐতিহ্য মুহাম্মদপুরের ‘আল্লাহ করিম’-ই কি মোঘল আমলের হারিয়ে যাওয়া মসজিদ?


মুহাম্মদপুরের ‘আল্লাহ করিম’-ই কি মোঘল আমলের হারিয়ে যাওয়া মসজিদ?


বিশেষ প্রতিবেদক, রহমতটোয়েন্টিফোর     15 November, 2020     11:44 AM    


বাংলায় একগম্বুজ বিশিষ্ট বর্গাকার মোঘল আমলের মসজিদের অস্তিত্ব ছিল ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুরের কাটাসুরে। ইতিহাসে এর নাম পাওয়া যায় ‘আল্লাকুরি মসজিদ’।

ধারণা করা হয়, মুহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত বর্তমানের আল্লাহ করিম মসজিদই মোঘল আমলের হারিয়ে যায় সেই মসজিদ। অভিযোগ আছে, স্থানীয় মানুষদের মূর্খতার খেসারত দিয়ে হয় এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে, যার জেরে ১৯ বছর আগে এর আদি স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে সৈয়দ মাহমুদুল হাসানের বিবরণ থেকে জানা যায়, কাটাসুর এলাকায় এখন আর এমন মসজিদ নেই। তবে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে আল্লাহ করিম জামে মসজিদ নামে যে মসজিদটি রয়েছে; ১৯ বছর আগে এর আদি ভবনটি ভাঙা হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা দাবি করেন, এটি কাটাসুর এলাকার মোগল আমলের মসজিদের উত্তরসূরি। মসজিদের পূর্বদিকের প্রবেশপথের উপরে একটি পাথরের শিলালিপি ছিল। কথিত আছে যে, শিলালিপিটি গত শতাব্দীতে ভাওয়ালের রাজা নিয়ে গিয়েছিলেন।

উইকিপিডিয়া থেকে জানা যাচ্ছে, মসজিদটির অভ্যন্তরীণ পরিমাপ ৩.৮১ মিটার × ৩.৮১ মিটারসহ বর্গক্ষেত্র রয়েছে। এটিতে চারটি অষ্টভুজ কোণার টাওয়ার (মিনার) রয়েছে। টাওয়ারগুলির গোড়ায় কলস/ফুলদানি রয়েছে। নিয়মিত বিরতিতে উত্থিত ব্যান্ডগুলি দ্বারা বিভাগগুলিতে বিভক্ত হয় এবং একটি কিওস্ক এবং প্যারাট দ্বারা মুকুটযুক্ত। মসজিদটি পশ্চিম দিকের প্রাচীর (কিবলা পাশ) ব্যতীত প্রতিটি প্রাচীরের মাঝখানে তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করা যায়। পশ্চিম দিকের প্রাচীরটিতে তিনটি আধা-অষ্টভুজাকৃতির খিলানযুক্ত মিহরাব রয়েছে। মসজিদের দেয়ালগুলি ঘন এবং গ্রীষ্মেও অভ্যন্তরীণ শীতল থাকে।

১৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই মসজিদের ভবনে ছিল একটি গম্বুজ। গম্বুজটি স্কুইনচে বা অষ্টভুজাকার ড্রামে বহন করা হয়। এটিতে পারস্য স্থাপত্যের প্রভাব রয়েছে। গম্বুজটি আগে পদ্ম এবং কলস ফাইনাল দিয়ে মুকুটযুক্ত ছিল।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসছে। চোখ রাখুন রহমতটোয়েন্টিফোরে।