| |
               

মূল পাতা রাজনীতি এদেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলনকে ক্ষমতার ভার অর্পণ করতে চায় : চরমোনাই পীর


এদেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলনকে ক্ষমতার ভার অর্পণ করতে চায় : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ     28 September, 2024     09:25 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত আওয়ামী সরকার এই দেশের নয় বরং বিদেশী দালাল সরকার হিসেবেই শিক্ষানীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে দেশ ও ধর্মবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হল, রক্তের সাগর পেরিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি, তাদের মধ্যেও শিক্ষানীতিতে ইসলাম ও মুসলমানদের বিশ্বাস ও আদর্শকে অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিকতার ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য দেশের রাজনৈতিক মাঠ এখন যথেষ্ট উর্বর। এদেশের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্ট হয়েছে, আগামীতে তারা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে  ক্ষমতার ভার অর্পণ করতে চায়।

 শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জেলা ও থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার অঙ্গসংগঠন সমূহের ভূমিকা ছিল অনন্য। এছাড়াও এই আন্দোলনে ৭৩জন হাফেজ আলেম শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। সুতরাং আলেম ওলামার এদেশের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সব সময় সজাগ ছিলেন।

ঐক্যের ব্যাপারে মুফতী রেজাউল করীম বলেন, জন্ম থেকেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঐক্যকামী দল। আমাদের মরহুম আমীর শায়খ সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.) ঐক্যের ব্যাপারে অধীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে গিয়ে গিয়ে ঐক্য ও সম্প্রীতির বানি ছড়িয়ে গেছেন আমৃত্যূ। আমরাও সেই পথ ধরে ঐক্যের বার্তা দিয়ে যাচ্ছি।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দের কারো কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন বা ঐক্যবিরোধী বার্তা পেয়ে থাকেন, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা সবাইকে নিয়ে ইসলামকে ক্ষমতায়ন করতে চাই ইনশাআল্লাহ।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমীন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মাদ মারুফ, মুফতি রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, প্রিন্সিপাল আ হ ম আলাউদ্দিন, মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দীক, মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম শাহিন, প্রভাষক আহমদ আবদুল জলিল, প্রভাষক মাওলানা মুহাঃ আল-আমিন, মুফতি শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, মুফতী জুবায়ের আহমদ, মুফতি একেএম আবদুজ জাহের আরেফী, মাওলানা এস এম আজিজুল হক, মাওলানা ইউনুছ তালুকদার, মাওলানা মোরশেদুল আলম, মুফতি শেখ মুহা. নুরুন নাবী, প্রকৌশলী মোঃ এহতেশামুল হক পাঠান, অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হোসাইন, মুফতী হোসাইন মুহাম্মাদ কাওছার বাঙ্গালী, সাইফুল ইসলাম, ডা. মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাসান রায়হান, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, কে এম শামিম আহমেদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।