| |
               

মূল পাতা জাতীয় রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ


রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়: সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ


রহমত নিউজ     18 July, 2024     04:19 PM    


কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংলাপে বসার যে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়’। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে আইনমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের পরপরই তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।

তার স্ট্যাটাসটি ৪৫ মিনিটি সাড়ে ৩ হাজার শেয়ার, দেড় হাজার কমেন্ট ও সাড়ে ৮ হাজার মানুষ রিয়েক্ট করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কারে আমরা নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করি। যেকোনো সময় এ নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি।

এর আগে অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে ওয়াইফাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে ওয়াইফাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দখলে নেওয়ার সরকারি বাহিনীর অপচেষ্টার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঘের বাচ্চারা। আপনারা যেই উদ্যম নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তা বাকিদেরও উজ্জীবিত করবে।’

সরকারি বাহিনীর হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে নৃশংসতা সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে করা হচ্ছে এর কড়া জবাব দেওয়া হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনদের ঝরানো রক্তের জবাব দেওয়া হবে। দমন-পীড়নের যে পথ সরকার অবলম্বন করছে এটা সমাধানের পথ নয়। আমাদের বারবার সংঘাতের পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। ছাত্র-জনতার লিমিট পুশ করার চেষ্টা বুমেরাং হবে।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ‌‌‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে।

কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো: সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।