| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক এশিয়া বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে চায় ভারত: মোদি


বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে চায় ভারত: মোদি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     05 April, 2024     11:18 AM    


বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে চায় ভারত। এমনই বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে যখন ভারতীয় পন্য বয়কটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে এমনই বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কোচবিহারে এক নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'উত্তর পূর্ব ভারতের মতই উত্তরবঙ্গেও আরও বেশি উন্নতি করার সুযোগ আছে। আমরা পুরো এলাকার এবং এখানকার মানুষের জীবনেরও উন্নতি করতে চাইছি। সেই সঙ্গে আমরা চাইছি, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে। দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক যাতে আরও মজবুত হয় সেটাও দেখা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, কারবার আরও সহজ করতে চাইছি। দু' দেশের মধ্যে আইনি পথে যাতায়াত যাতে আরও সহজ করা যায়, সব সময় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।'

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কোচবিহার সফরের পরেই ওইদিন বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বয়কট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, 'বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে পারবে না'। 

রণধীর বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ব্যাপ্তি অত্যন্ত গভীর, এই সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। অর্থনীতির সর্বত্র এর ব্যাপ্তি। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই সম্পর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগও বেড়ে চলেছে। জীবনের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে দুই দেশের সম্পর্কের ছোঁয়া পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক প্রাণবন্ত। দুই দেশের এই সম্পর্ক আগামী দিনেও এমনই থাকবে।

প্রসঙ্গত ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশই আরও যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালীর পর ত্রিপুরার আখাউড়া থেকে বাংলাদেশকে যুক্ত করার জন্য নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন আলোচনার টেবিলে রয়েছে। সীমান্তের যাত্রী হয়রানি কমাতে দুই দেশের তরফেই নেয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে আইসিপির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে সীমান্তের দুই পারেই।