| |
               

মূল পাতা অর্থনীতি একমাসের ব্যবধানে কমলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ


একমাসের ব্যবধানে কমলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ


রহমত নিউজ     01 February, 2024     08:57 PM    


গত একমাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। দেশে দীর্ঘদিন ধরে ডলারের সংকট থাকলেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে না। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। সংকটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় গত একমাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে। গত ৩ জানুয়ারি রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭শ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৩৩ কোটি ডলারে। অন্যদিকে আইএমএফ এর হিসাব নিয়মানুযায়ী বিপিএম-৬ মেথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী মোট রিজার্ভ এখন ২৫.০৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে এলসির বকেয়া দায় দিন দিন বাড়ছে।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক জানিয়েছে, তাদের পণ্য আমদানির বকেয়া দায় বেড়ে ৬০ কোটি ডলারের ওপরে উন্নীত হয়েছে। সরকারের বড় প্রকল্প, বিপিসির জ্বালানি তেল, ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল। কিন্তু তার একটি বড় অংশ এখন আর পরিশোধ করতে পারছে না।

বিদেশি এয়ার লাইন্সগুলোর টিকিট বিক্রির বড় একটি অংশ তারা নিজ দেশে নিতে পারছে না। অপর দিকে বিদেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোরও বকেয়া দায় বেড়ে গেছে। ডলার সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তার বকেয়া দায়ের বড় একটি অংশ পরিশোধ করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে ডলারের দাম বেড়েছে, কমেছে টাকার মান।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। ফলে টাকার হিসাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ডলারের হিসাবে বাড়েনি, বরং কমে গেছে।  ডলারে ঋণ কমায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডও কম হয়েছে।  অন্যদিকে বৈদেশিক দায়-দেনার পরিমাণ বেড়ে গেছে।