আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা ডা. রশীদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলাধীন পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. হারুনুর রশীদকে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা ডা. রশীদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এটি দেশজুড়ে ক্ষমতাসীন দলের পৈশাচিকতার আরেকটি দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগ যে মানবিকবোধশূন্য রাজনৈতিক দল, সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো তাকে নারকীয় কায়দায় হত্যার মাধ্যমে। হত্যা, গুমের সংস্কৃতি তৈরি করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চাচ্ছে দলটি। দেশে রক্তাক্ত জনপদ ছাড়া জনগণকে তারা আর কিছুই দিতে পারেনি। 

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠানের পর জোর করে মসনদ আঁকড়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এজন্য প্রতিবাদী জনগণকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগরে রক্ত ঝরাচ্ছে তারা। তাদের নানা এজেন্ডার মধ্যে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামীবিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা অন্যতম। ভোটারশূন্য নির্বাচন করে দলটির ফ্যাসিবাদী চেহারা আরও হিংসাত্মক রূপ ধারণ করেছে।

রিজভী আরো বলেন, দেশে চরম মূল্যস্ফীতি, খাদ্যপণ্যের দামের লাগামহীন উর্ধ্বগতি এবং জনজীবনে হাহাকার আর নৈরাশ্য বজায় রাখতে অবৈধ সরকার বিরোধীদলের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ শুরু করেছে। যার সর্বশেষ শিকার হলেন ডা. রশীদ। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী রুবেল। তবে এভাবে হত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে আওয়ামী লীগ আর টিকে থাকতে পারবে না। প্রতিটি নির্মমতা ও হত্যাকাণ্ডের জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নেবে।

অবিলম্বে ডা. রশীদকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান রিজভী। সেই সঙ্গে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।