| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচনের পর শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী


ফাইল ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনের পর শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     07 December, 2023     10:11 AM    


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচনের পর যখন নতুন সংসদ বসবে, তখন শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে। শ্রম আইন সংশোধনীতে এমন ত্রুটি ছিল যে, এতে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে। তাই, রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই এমনটি হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন সংসদে পাস করার আগে এটিতে একটা ত্রুটি ছিল। এটা অন্য কোনো ত্রুটি নয়, এটা টাইপিংয়ের ত্রুটি। শ্রমিকদের সাথে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে। সেটি একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদে। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় আইনটি রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন পরিলক্ষিত হয়েছে যে, শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে, সে জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তখন আইন অনুসারে রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই না করে আবার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে। তার মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদে আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার যখন দেখতে পেল যে, শ্রমিকদের যে অধিকার দেয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রুটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এ জন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটা জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য যেটা করা হবে, সেটা হচ্ছে আবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে। আইনটিতে মালিকদের কিছু আচরণের ব্যাখ্যা করে দেয়া আছে। বলা হয়েছে, কোনো মালিক কোনো বেআইনি লকআউট শুরু করলে কিংবা চালিয়ে গেলে অথবা তা এগিয়ে নেয়ার জন্য কোনো কাজ করলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদ- অথবা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দন্ডিত হবেন। এই সাজাটা ছিল পাঁচ হাজার টাকা, কিন্তু এটা ২০ হাজার টাকা করেছি। এখানেই ত্রুটিটা হয়ে গেছে। এই ত্রুটি যখন শ্রম মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে, তখন এটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এটিকে ফেরত দিয়েছেন।