| |
               

মূল পাতা জাতীয় গার্মেন্টস মালিকদের বেতন প্রস্তাব অযৌক্তিক : শ্রম প্রতিমন্ত্রী


গার্মেন্টস মালিকদের বেতন প্রস্তাব অযৌক্তিক : শ্রম প্রতিমন্ত্রী


রহমত নিউজ     02 November, 2023     08:40 PM    


শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, নতুন বেতন কাঠামোতে শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার ৩৯৯ টাকার যে প্রস্তাব মালিকরা করেছে তা অযৌক্তিক। আগামী ৭ নভেম্বর নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মজুরি বোর্ডের নতুন সভা হবে। সেখানে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হবে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং শ্রমিক সংগঠনের ৪টি মোর্চার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আগামী ৭ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের বৈঠক রয়েছে। সেখানে আশা করি চূড়ান্ত হতে পারে। যদি না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। আশা করি শেষ ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী মালিক-শ্রমিকদের ডেকে একটি সিদ্ধান্ত দেবেন। মালিকরা নতুন যে বেতন কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছেন তা মোটেও যৌক্তিক না। বর্তমান বাজারে একজন শ্রমিক দুই বেলা ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে এমন একটি বেতন কাঠামো করতে হবে। সেটা না হলে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এর আগেও যে কয়কটি মজুরি বোর্ড হয়েছে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিল। এবারও হয়তো তার হস্তক্ষেপে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে যেতে পারব।

সভায় সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন বাড়বে এটা তো সবাই বলছে। শ্রমিকদের দাবি, ২০ হাজার ৩৯৯ আর মালিকরা বলছে, ১০ হাজার ৩৯৯ টাকা। আমরা মনে করি কোনো পক্ষের দাবি যৌক্তিক না। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। তাই দুই পক্ষের মাঝামাঝি এমন একটি বেতন কাঠামোর প্রস্তাব করব যেখানে শ্রমিকরাও বাঁচে, শিল্পও বাঁচে। তাই বিষয়টি যেন গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে হয় সেই চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। এই আন্দোলনে বিএনপির উসকানি রয়েছে, বিএনপি গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নানা সময় বিভিন্ন গ্রুপের ওপর ভর করে দেশে অরাজকতা তৈরি করতে চায়। এবার শ্রমিক আন্দোলনের ওপর ভর করেছে।