| |
               

মূল পাতা জাতীয় সঠিক দিক-নির্দেশনার মাধ্যমেই শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব : রাষ্ট্রপতি


সঠিক দিক-নির্দেশনার মাধ্যমেই শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব : রাষ্ট্রপতি


রহমত নিউজ ডেস্ক     02 October, 2023     08:40 AM    


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শিশুরাই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি, সুন্দর আগামী প্রতিষ্ঠার কারিগর। তাই বিশ্বকে সুন্দর করার পূর্বশর্ত শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তোলা। শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমেই শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব।

আজ (২ অক্টোবর) সোমবার ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটি উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুর প্রতি জানাই আন্তরিক স্নেহ ও ভালোবাসা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু স্নেহ, মমতা ও নিরাপদে বিকশিত হোক- বিশ্ব শিশু দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি বিশ্বাস করি, আজকের শিশুরাই গড়ে তুলবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।” ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্ব হবে সুন্দর ও শান্তিময়। বিশ্বের সকল শিশুর অধিকার সংরক্ষণের উপলব্ধি থেকে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়েছে। এ সনদের গর্বিত অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শিশুদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ১৯৮৯ সালে ঘোষিত জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অনেক আগেই, বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের কথা চিন্তা করে ‘শিশু আইন-১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু শ্রম ও নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। 

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ ও ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এসব আইন, নীতি ও পদক্ষেপ শিশুর শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশসহ সার্বিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আমি আশা করি, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।