রহমত নিউজ ডেস্ক 12 September, 2023 02:26 PM
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জেরা ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী। অন্যদিকে এর বিরোধিতা করে দুদক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিষয়টি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া।
এর আগে গত ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
মামলার অন্য বাকিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।