| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ নয় : ওবায়দুল কাদের


বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ নয় : ওবায়দুল কাদের


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 August, 2023     12:53 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়। ডেঙ্গুর চেয়ে ভয়ঙ্কর বিএনপি থেকে সাবধান থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ শুধু কর্মসূচি পালন করে না। মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হয়। আমাদের বাঁচতে হলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শুধু রাজনীতি করলে হবে না। মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে। ডেঙ্গু বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা উচিত, এ ব্যাপারে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডা. প্রাণ গোপালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এ সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। '৭৫-এ আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি, তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি। নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, ক্ষমতাচ্যুত করবে; যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, তাদের এমন মন্তব্য করা অশোভন। যারা ভারতের হস্তক্ষেপ বলেন তাহলে একাত্তর সালে কী হয়েছিল? ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, তাদের  সৈন্যরা রক্ত দিয়েছে, আমাদের লোকজনকে শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, সেটা কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়?

তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিএনপি তাকিয়ে আছে শুধুমাত্র আমেরিকার দিকে। কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে, কখন ভিসানীতি আসবে, ভিসানীতি আর নিষেধাজ্ঞার কথা ভেবে ভেবে আটলান্টিকের ওপরে তাকাতে তাকাতে তাদের চোখের পাওয়ার কমে গেছে। এখন আর তাকিয়ে কিছু দেখতে পায় না। কেন ভিসানীতি আসে না? কেন নিষেধাজ্ঞা দেয় না? এসব চিন্তা করে করে ফখরুলের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ওসব বিষয় নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। আমরা পাবলিকের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের পাবলিক ক্ষমতা রাখলে আমরা থাকবো। পাবলিক না রাখলে আমরা চলে যাব। 

তিনি আরো বলেন, বিদেশে পাচার করা অর্থ নিয়ে চিন্তায় নাকি আমরা বিভোর। বিদেশে অর্থপাচার কারা করেছে, সেটা ধরা পড়ে গেছে, এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। মামলায় দণ্ডিত তাদের নেতা বিদেশে পালিয়ে গেছে। কথায় কথায় পলায়নের কথা বলে ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস। লজ্জা করে না? আপনাদের দলের এখন যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান তিনি তো দণ্ডিত পলাতক। পলাতক নেতাই হলো আপনাদের তারেক রহমান। আমরা পালাবো কেন? কোথায় পালাবো? আমরা কোথাও পালাবো না। পালিয়েছেন আপনারা, ওই কথার জবাব দেন। তারেক রহমানের কেন সৎ সাহস নেই, দেশে এসে আন্দোলন করে আপনাদের এক দফার বাণী প্রচার করতে? এই কাপুরুষ, এই ভীরু, পলাতক নেতার নেতৃত্বে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন বাস্তবায়িত হয়নি, রিমোট কন্ট্রোল আন্দোলন বাংলাদেশ হয় না।