| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘যাদের সঙ্গে টেনশন আছে, তাদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বাড়ছে’


ফাইল ছবি : সংগৃহীত

‘যাদের সঙ্গে টেনশন আছে, তাদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বাড়ছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     01 August, 2023     12:54 PM    


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এটি বললে জিএসপি বাতিল হয়ে যাবে, বা সেটা বললে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে— দয়া করে এমনটি মনে করবেন না। এত কিছুর পরেও শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের পরে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। কিন্তু অন্য রাষ্ট্র, যাদের সঙ্গে টেনশন আছে, তাদের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ক্রয় সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্রনীতির একটি ‘অস্ত্র’। এখানে দর কষাকষি হবে, আলোচনা হবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ে নিজের অফিস কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের পার্থক্য আছে। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা সব সময় ছিল। আমরা ভৌগোলিকভাবে সব সময় এখানে ছিলাম। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে আশেপাশের দেশগুলোর গুরুত্ব, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি— এসব কিছু আমাদের নতুন একটি জায়গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে আমাদের অনেক বেশি ঠান্ডা মাথায় বিষয়গুলোকে সামলাতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আওয়ামী লীগের অতীতের সরকারের মধ্যে ছিল না। এগুলো নতুন বিষয় বা নতুন চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে এটি আমাদের জন্য একটি সম্ভাবনাও বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই একে-অপরকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও দূরত্ব বাড়ছে না। আমার কাছে বিষয়টি খুব হাস্যকর মনে হয়, যখন কেউ আমাকে বলে— ‘যুক্তরাষ্ট্র গার্মেন্টসের বড় বাজার, এটি বললে তো গার্মেন্টসের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।  খুব ভালো বন্ধুত্বের জায়গায় নেই— এমন ১০টি দেশের তালিকা করে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয় এবং এখানে উভয়পক্ষের লাভ আছে। আমরা যেমন সেখানে রফতানি করে ডলার আয় করি, তারাও আমাদের বাজারকে আকর্ষণীয় মনে করে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজনেস ক্লাইমেট রিপোর্টে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু সমালোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই রিপোর্টে কিছু প্রশংসাও আছে। ব্যবসার জন্য সহায়ক বেশ কিছু পরিবর্তন বাংলাদেশ করতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে যে প্রত্যাশা করছে— আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে যাই, তাহলে আমরা আর সরবরাহকারী দেশ থাকবো না। আমরা ১৫ বছরে তাদের সমতুল্য হতে পারবো না। পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের জন্মলগ্নে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। অনেক দেশের জন্মের অনেক পরে নারীরা ভোটাধিকার পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে সবারই ভোটাধিকার রয়েছে এবং সেদিক থেকে আমরা অন্যদের থেকে এগিয়ে আছি।