| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ‘আ’লীগ জন্মগতভাবে সন্ত্রাসী দল, তারা দেশকেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’


‘আ’লীগ জন্মগতভাবে সন্ত্রাসী দল, তারা দেশকেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     01 August, 2023     02:31 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে একটি সন্ত্রাসী দল। এটা তাদের একমাত্র পরিচয়। তারা নিজেরা সন্ত্রাসী দল এবং দেশকেও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আজকে আমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছি, সেই একই দাবিতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ গান পাউডার দিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিল। লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। 

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্যোগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রান্তিকবিষয়ক সম্পাদক অপর্ণা রায়, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু চৌধুরী প্রমুখ।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। আমাদের এক কথা এক দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। উত্তাল আন্দোলনের ঢেউয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপির জনসমর্থন দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে পুরোপুরিভাবে অন্যপন্থায় চলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ শিষ্টাচার জানে না। আওয়ামী লীগে কোনোকালেই ভদ্রলোক ছিল না। তাদের কাছ থেকে ভদ্রতা আশা করা ঠিক না। গয়েশ্বর, আমান, সালামকে নতুন করে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে না। 

বিএনপি আগের চেহারায় ফিরে এসেছে (২০১৩-২০১৪ সালের জ্বালা-পোড়ও) প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমিও আপনার সঙ্গে একমত, বিএনপি আগের চেহারায় ফিরে এসেছে। আর সেটা হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন, আন্দোলন। তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রভু মনে করে। তারা মনে করে, এই দেশের মালিক আওয়ামী লীগ। জনগণকে দেশের মালিক মনে করে না।  গত ২৯ জুলাই বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ আশা করেছিলো একটি খুন-খারাবি হবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় নিজের সমাবেশে দুই গ্রুপ সংঘর্ষ করে পথচারী এক কুরআনে হাফেজকে হত্যা করেছে।