জনগণ আ.লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী

জনগণ আ.লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাত্র ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ৯৩ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি। জনপ্রিয়তা থাকলে আওয়ামী লীগের লোক গেল কোথায়, তারা কি বেড়াতে গিয়েছিল? আসলে আওয়ামী লীগকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

শুক্রবার (২১ জুলাই) ময়মনসিংহ নগরীর টাউনহল মাঠে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর বলেন, জনগণ মনে করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে খুশিমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলে কোনো আপত্তি নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ে আমেরিকাকে খুশি করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কথায় আছে আমেরিকা যার বন্ধু তার আর শত্রুর প্রয়োজন নেই। আমেরিকার দিকে না গিয়ে দেশের মানুষের দিকে যান, মানুষের কল্যাণে কাজ করলে তারা আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে দুইটি নির্বাচন দিয়েছে। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে তো আগের রাতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে, জনগণ সেই তফসিল প্রতিহত করতে বাধ্য হবেন। কারণ এ নির্বাচন কমিশন কমিশনের দ্বারা দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। নির্বাচনকালীন সরকারের সঙ্গে সঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জোনের সহকারী পরিচালক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস মাওলানা ছালাউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহকারী জোন পরিচালক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আহাদ, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি মুফতি আবু তাহের তালুকদার, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি মুফতি মাওলানা নুরুল হক প্রমুখ।

এছাড়া সমাবেশে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল থেকে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্র ঘোষিত ৮ দফা দাবিতে বিভাগীয় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে নগরীতে মিছিল বের করা হয়।