| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরে ইসির কোনো বক্তব্য নেই : ইসি সচিব


এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরে ইসির কোনো বক্তব্য নেই : ইসি সচিব


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 June, 2023     08:58 PM    


নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সরকার এনআইডি সরবরাহ করার দায়িত্ব অন্য কাউকে (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) দেবে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আছে। যার ভেতরে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ছিল না। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে বলা আছে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে যখন ছবি সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা হয়েছে। তার উপজাত হিসেবে প্রায় ৮ কোটি তিন লাখ ভোটারের তথ্য সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা থেকে আইন করে সেখান থেকে এনআইডি দেওয়া শুরু হয়। তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে এনআইডি দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। রাষ্ট্র আবার সেই আইন সংশোধন করে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিচ্ছে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো বক্তব্য নাই। রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পালন করবে। রাষ্ট্র যখন এই দায়িত্বটা অন্য কাউকে সম্পাদন করতে বলবে, তখন অন্যরা সম্পাদন করবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু নাই। নির্বাচন কমিশন সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে চলছে, চলবে।

তিনি আরো বলেন, আইনটি আমরা এখনো দেখিনি। সোমবার (১২ জুন) এনআইডির যে আইন ছিল এটাকে সংশোধন করে জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০২৩ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদে যাবে। জাতীয় সংসদের এটি বিল উত্থাপিত হবে। বিল আকারে উত্থাপন হওয়ার পর সেটি সংসদীয় কমিটিতে চলে যাবে। সংসদীয় কমিটি রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট দেওয়ার পর পুনরায় সংসদে উঠবে। সংসদে এরপর আইন আকারে পাস হবে। তারপর আমরা বলতে পারবো, আসলে কী হয়েছে। এখন দুই ধরণের আইন হয়। একটায় বলা থাকে অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর গেজেট প্রজ্ঞাপন থেকেই কার্যকর হয়। কিছু কিছু আইন থাকে যেখানে বলা হয়, এই আইন গেজেট প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে বলবৎ হবে। সেক্ষেত্রে কী আছে আইনে সেটা যেহেতু আমরা জানি না। কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলতে পারবে।