| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে : চরমোনাই পীর


প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে : চরমোনাই পীর


রহমত নিউজ ডেস্ক     02 June, 2023     08:25 AM    


প্রস্তাবিত বাজেটকে অতীতের মতো বৈষম্য, লুটপাটের দলিল এবং ঋণনির্ভর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়াতে হবে। লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না। আইএমএফের শর্তারোপের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো রয়েছে সেটা স্পষ্ট করা হয়নি। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের কথামালা দিয়ে বাস্তবতাকে ঢাকার চেষ্টা করেছেন। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে এটা স্পষ্ট করা হয়নি। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি’ এভাবে জাতির সাথে তামাশা করা হচ্ছে। বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত জনগণকে ঋণনির্ভর করা হয়েছে। ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে গত ৭ বছরে, যার দায় আগামী প্রজন্মকে বইতে হবে।  ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে আছে, নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। ঢাকায় নতুন দরিদ্র হয়েছে ৫২ শতাংশ। ডলারের বিপরীতে স্বল্পতম সময়ে টাকার মারাত্মক অবমূল্যায়ন ও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। অথচ এই বাজেটে তার কোনও সমাধান নেই। এ বাজেট আমলা ও লুটেরা নির্ভর।

তিনি আরো বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকেদের অবৈধ টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বাজেটে বরাবরের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করা হবে। বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্তের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো হবে। এই বাজেট আয় বৈষম্য, সম্পদ বৈষম্য, খাদ্য-শিক্ষা-স্বাস্থ্য বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে কোনও ভূমিকা নেবে না, বরং বৈষম্য বাড়াবে।