| |
               

মূল পাতা জাতীয় ইনশাআল্লাহ, দেশের উন্নয়নের যাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী


ইনশাআল্লাহ, দেশের উন্নয়নের যাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 May, 2023     10:40 PM    


প্রকৌশলীদের দেশের উন্নয়নের মূল শক্তি হিসেবে অভিহিত করে তাদের বাংলাদেশের বিদ্যমান উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং আপনাদের (প্রকৌশলী) কাছে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া। দেশের জনগণের উন্নয়নে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, প্রকৌশলীরা দেশের উন্নয়নের মূল শক্তি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই আন্তরিক থাকবেন ‘যাতে আমরা উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারি।

আজ (১৩ মে) শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইইবির ৬০তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। আইইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী মো. নজরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন (শিবলু)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মো. আব্দুল হোসেন। অনারারি সেক্রেটারি প্রকৌশলী কাজী খাইরুল বাশার অনুষ্টানে যোগদানকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ওপর গানসহ একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপ-কেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ ও এএমআরই বিভাগের স্নাতকদের হাতে পুরস্কার (স্বর্ণপদক) ও সনদপত্র তুলে দেন।

আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’  হিসেবে গড়ে তোলা’ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ বাস্তবায়ন করবে যাতে দেশের কেউ আর ভোগান্তির শিকার না হয় এবং এতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি সম্মানজনক ও উন্নত জীবন পাবে। আমি আশা করি, আপনারা (প্রকৌশলীগণ) বিষয়টি মনে রেখে কাজ করবেন। সরকার কখনোই কোনো অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে না। আমরা অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করি না। যে বিষয়টির উপর তিনি সর্বদা জোর দেন তা হল কোন পরিকল্পনা দেশের জনগণের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা বয়ে আনবে এবং সরকার তা থেকে আয় করতে সক্ষম হবে। মেগা প্রকল্প নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু প্রকল্পগুলো শেষ হলেই এর সুফল সাধারণ মানুষ ভোগ করছে। যারা এসব মেগা প্রকল্পের সমালোচনা করেন, তারা কী বলতে চান। আমরা যে প্রকল্পই নিই না কেন, প্রথমেই আমরা ভাবি দেশের মানুষ কতটা উপকৃত হবে। আর সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কী রিটার্ন হবে এবং কত দ্রুত সেটা আসবে। তিনি কখনোই কোনো দেশ বা কোনো সংস্থার দেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেন না যা দেশ ও জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না।

সারাদেশে শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের (প্রকৌশলীদের) অবহিত করতে চাই এবং আমি এটা কখনই মেনে নেব না। কারণ, আমি সেটাই করবো, যা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা রাজধানী কেন্দ্রিক নয়। আমরা গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত উন্নয়ন করেছি। সরকার বিদুৎ সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হওয়ায় গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে অভিবাসনের প্রবণতা কমেছে।নির্বিচারে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না। আমরা শিল্পায়নের জন্য বিশেষ অঞ্চল সৃষ্টি করেছি- যেখানে সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। খাদ্য উৎবাদন অব্যহত রাখতে আমাদেরকে আবাদী জমিকে রক্ষা করতে হবে। দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও কৃষিখাতে দীর্ঘ সময় ধরে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত না রাখার বিষয়ে তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন, আমাদের এই ভর্তুকির পরিমাণ কমাতে হবে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।