ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে : তথ্যমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে ইসলামী দলগুলো আমাদের সাথে ছিলো, তাদেরকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। তাতে করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করার পথ আরো সুগম হবে।

আজ (৪ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘মাহে রমজানের শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শায়খুল হাদীস মনিরুজামান রাব্বানীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ওর্য়াকার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা রুহুল আমিন খান উজানভী, চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইফী, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের সভাপতি এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান, তৃণমূল বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সাংগঠনিক সচিব আবুল কালাম আজাদ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর মতো নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অন্য বেশ কিছু দল ইভিএমে আপত্তি জানিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সব আসনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি অনেকটা বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়ার মতোই। সুতরাং আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো বাধা আমি দেখতে পাই না, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নির্বাচনভীতি পেয়ে বসেছে, তাই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চায়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেহেতু তাদের দাবি অনুযায়ী ব্যালটে নির্বাচন দিয়েছে, আশা করি তারা ভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে। রমজান, ঈদ, পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় যখন অন্য দেশে পণ্যমূল্য কমে তখন আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ী আগ্রাসী রূপ ধারণ করে, পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থা মোকাবিলায় ভোক্তা অধিকার সংস্থা সক্রিয় হয়েছে এবং মানুষের সুবিধার্থে সরকার রমজানে স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।