| |
               

মূল পাতা জাতীয় অচিরেই পাটপণ্য সকলের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে : পাটমন্ত্রী


অচিরেই পাটপণ্য সকলের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে : পাটমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     12 March, 2023     08:42 PM    


বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের আরও প্রদর্শনীর আয়োজন করতে জেপিডিসির কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি বলেছেন, অচিরেই সরকারের সফল উদ্যোগে বহুমুখী পাটপণ্য সকলের হাতে হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। আর এজন্য বেশি বেশি করে দেশে-বিদেশে বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হবে।

আজ (১২ মার্চ) রবিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পাট দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ  ১২ মার্চ  থেকে ১৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এবার মেলায় ৭২টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনীতে পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন।

জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পাটমন্ত্রী বলেন, যতো বেশি সম্ভব পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে উৎসাহী হবে। পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার  উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোন ভবিষ্যত নেই।

তিনি আরো বলেন, পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোয় আরো বেশি মনযোগী হতে হবে। পণ্য বহুমুখী করার পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।