| |
               

মূল পাতা জাতীয় আমাদের আগে কোনো দেশ ডিজিটালের কথা ভাবেনি : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী


আমাদের আগে কোনো দেশ ডিজিটালের কথা ভাবেনি : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     14 February, 2023     07:42 PM    


ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। আমাদের আগে পৃথিবীর কোনো দেশ ডিজিটাল কর্মসূচির কথা ভাবেনি। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণার এক বছর পর ব্রিটেন ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল ব্রিটেন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারও ছয় বছর পরে ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমাদের ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান ডিজিটাল পাকিস্তান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। অপরদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা করেছেন। তিনি ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, আমার স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট মানুষ।

আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের শহিদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে  ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘৮ম ডিসিএসসি জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব ও বিজ্ঞান মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রাহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান ক্লাবের আহ্বায়ক এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শরীফা সুলতানা, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদারসহ ঢাকা কলেজ ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের বিস্তারে কম্পিউটার আমদানির ওপর থেকে শুল্ক এবং ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছিলেন। কম্পিউটার শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছিলেন এবং যত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার সবকিছুই তিনি করেছিলেন।বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের সাড়ে তিন বছর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ১৯ বছরই বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। কেননা বন্ধুবন্ধু স্বাধীনতার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে বীজ বপন করেছিলেন, তারই কন্যা শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই বীজকে চারাগাছ থেকে বিরাট মহিরুহে পরিণত করেছেন।স্বাভাবিকভাবে বিজ্ঞানশিক্ষায় দেশে একটি বড় ধরনের দুর্বলতা কাজ করে।এমনিতেই বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য এসব ভাগে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর অতিক্রম করানো হয়। যার ফলে বর্তমান সময়ের আলোকে শিক্ষার্থীদের যেমন বিজ্ঞানচর্চা দরকার বাস্তবে তেমনটি হয়ে ওঠে না। তবে আজকের বাস্তবতা হলো শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই বিজ্ঞানচর্চা করবে সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। পৃথিবীর আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু রূপান্তর হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ধারণা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যন্ত্র এসে মানুষের জায়গা দখল করে নেবে। তবে আমি সবসময় বলি, পৃথিবীতে মানুষের জায়গা দখল করবে এমন কোনো যন্ত্র মানবসভ্যতার বিকাশে কোনো কাজ করতে পারে না। বরং মানুষের নিয়ন্ত্রণে যন্ত্র থাকবে এবং মানুষ এই যন্ত্র নির্মাণ করবে তাকে সহায়তা করার জন্য, সেটিই হচ্ছে প্রকৃত বিষয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আমরা মিস করেছি। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর তার বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের প্রত্যেকের কাছে যে বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন সেটি হচ্ছে বাংলাদেশকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করতে হবে। সেই পথ ধরে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছেন সেটি বিশ্বে অনুকরণীয়। দেশের সার্বিক ডিজিটাল রূপান্তরের যে বীজ বঙ্গবন্ধু বপন করেছিলেন, ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বীজকে চারাগাছে রূপান্তর করেছেন।