| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘ইসলামবিরোধী সিলেবাসে প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো ঈমানী দায়িত্ব’


‘ইসলামবিরোধী সিলেবাসে প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো ঈমানী দায়িত্ব’


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 January, 2023     06:15 PM    


কোরআন-হাদীস বিরোধী বিতর্কিত সিলেবাসে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ডারউইন তত্ত্ব ও ইসলাম বিরোধী সিলেবাসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও পৌত্তলিক বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তাওহীদ জনতা রুখে দিবে। পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদ সংযোজন করে হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে, এবং বাংলাদেশের কৃষ্টি কালচারবিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। ৯২ ভাগ মুসলমানদের বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতা এ জঘন্য  সিদ্ধান্ত  কিছুতেই মেনে নিবে না।

আজ (১৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষকদের এক বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব ও জামিয়ার শিক্ষাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, প্রধান মুফতি ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি রায়হান ফরহাত, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী,মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতী আফম আকরাম হোসাইন, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মুফতী আবুল হাসান কাসেমী, মাওলানা জসিমউদদীনসহ জামিয়ার সকল শিক্ষকবৃন্দ।

আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বিজ্ঞান বইয়ের ১১ জন উলঙ্গ নারী পুরুষের ছবি, হিন্দুদের দেব- দেবীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি,  হিন্দু মহিলার শাঁখা পরা ছবি রয়েছে। এছাড়াও দূর্গাপূজা,গীতাঞ্জলিসহ মূর্তিপূজার সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষা দেয়া হয়েছে। নবী ও সাহাবীদের নাম বাদ দিয়ে মন্দিরা,প্রিয়াংকা,মিসেল,ডেবিট, প্লাবন, চাকমার মতো অমুসলিম নাম সংযোজন করা হয়েছে।  পবিত্র কুরআন হাদিসে স্পষ্ট লেখা আছে আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকেই মানব জাতির বংশ বিস্তার হচ্ছে। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব সম্পুর্ন কোরআন বিরোধী। কোন বিবেকবান মানুষ নিজেকে বানরের জাতি পরিচয় দিতে পারে না। মনে হয়, সরকারের সকল অর্জনকে বিনষ্ট করতেই একটি কুচক্রীমহল ব্রাহ্মন্যবাদী ভিনদেশী  এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। বিগত কয়েক মাস যাবত বিতর্কিত এ সিলেবলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন,আলেম- উলামা, শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও সভা- সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানানোর পরও জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড  কোন কর্ণপাত করেনি। এসসিটিবির সূত্রে জানা গেছে ( ২০২৩ ইং ২০২৭ ইং) এর মধ্যে প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রম চালুর সময় সীমা নির্ধারন করা হয়েছে। আপত্তিকর ও উলঙ্গ ছবিযুক্ত কোরআন-হাদীস বিরোধী, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করে  সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে বর্তমান চাহিদাকে মিলিয়ে শিক্ষা কমিশনে আলেমদের সমন্বয়ে যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।