| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে আইন শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী’


প্রজ্ঞা-আত্মা’র সাথে বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

‘তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে আইন শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী’


রহমত নিউজ ডেস্ক     11 January, 2023     04:47 PM    


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

আজ (১১ জানুয়ারি) বুধবার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সাথে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক, চ্যানেল এস-এর ডিরেক্টর (নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স) শংকর মৈত্র, আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।

সাক্ষাতের সময় প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠির ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) তামাক ব্যবহার করে। তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এলক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এধরনের সকল পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি।