| |
               

মূল পাতা রাজনীতি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায় : তথ্যমন্ত্রী


সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায় : তথ্যমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     02 January, 2023     07:27 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে, বিএনপি ও তার মিত্ররাই এখন বেকায়দায় পড়ে গেছে। আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- বিরোধী দল বিএনপি সাংঘর্ষিক রাজনীতি, বিদেশিদের পদলেহন, আর বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়ায় এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকায়দায় পড়ে গেছে। এর কারণ, তারা ভেবেছিল ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করে, তারা বিশৃঙ্খলা করতে পারবে। সেটি তারা পারেনি এবং বুঝতে পেরেছে, তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।

আজ (২ জানুয়ারি) সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এরপরও বিএনপি চেষ্টা করবে। এ বছরও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তবে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি এবং সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কি করতে চায়, কি করতে পারে- সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। সেটি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা দু’টোই আমাদের আছে। সুতরাং সেটি আমাদের জন্য কোনো কঠিন কোনো কাজ নয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটি হচ্ছে- নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে। এ ধরণের হঠকারি সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো, সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারি সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।