| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি সরকারকে বিদায় করতে হবে : খন্দকার মোশাররফ


সরকারকে বিদায় করতে হবে : খন্দকার মোশাররফ


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 December, 2022     05:50 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ বলছে এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। সব দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো। আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে- সেজন্যই আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ দশ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।

আজ (২৬ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এমএ সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হয়েও তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারপরও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে, সরকার তাদের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে গেছে। সেজন্য জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। এই সরকার বিচার বিভাগ মেরামত করতে পারবে না।  সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম করেছে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ শতশত নেতাকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।