| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘শিক্ষা কমিশনে ‘হাইআতুল উলইয়ার’ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে’


‘শিক্ষা কমিশনে ‘হাইআতুল উলইয়ার’ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে’


রহমত নিউজ     17 December, 2022     04:43 PM    


হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শিক্ষানীতি নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়। ইতঃপূর্বে ২০১১ ও ২০১৬ সালে শিক্ষানীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র হলে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির বাঁধার মুখে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। আমরা জানতে পেরেছি সেই ষড়যন্ত্র আবারো শুরু হয়েছে। এবার তারা ধর্মীয় শিক্ষার পরীক্ষাই বাতিল করে দিচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যে বিষয়ে পরীক্ষা থাকবে না সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে! এটা ধর্মীয় শিক্ষাকে বাদ দেওয়ারই নামান্তর। আমরা এই ষড়যন্ত্র মেনে নিতে পারি না। শাইখুল ইসলামের শিষ্যরা এখনো জীবিত আছেন। আমরা কোনভাবেই এই ধরণের জাতি ধ্বংসকারী সিদ্ধান্তকে মেনে নেব না। আমাদের দাবি অবিলম্বে জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ইসলামবিদ্বেষী লেখাগুলো বাদ দিতে হবে এবং সকল শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষার ওপর ১০০ নাম্বারে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সাথে জাতীয় শিক্ষা কমিশনে আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

আজ (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক ঘোষিত ১৩ দফা দাবি আদায়, কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হেফাজতের নামে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের প্রতিবাদ, পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হক্কানি আলেম প্রতিনিধি রাখার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাশের উদ্যোগে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, পৃথিবীর সমস্ত আলেম-ওলামারা একমত যে কাদিয়ানীরা কাফের। দুনিয়ার প্রায় সকল মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বাংলাদেশে এটি এখনো করা হয়নি। তাই কাদিয়ানীরা বিনা বাধায় সরলপ্রাণ গরিব মুসলিমদেরকে লোভে ফেলে কাফের বানাচ্ছে। এছাড়াও তারা মুসলিম নাম ধারণ করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দিচ্ছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এটি বাংলাদেশের সকল নবীপ্রেমী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তৌহিদী জনতার প্রাণের দাবি।

তিনি আরো বলেন, দিল্লীর মাওলানা সা'দ সাহেবের বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের দাওয়াতে তাবলীগের মধ্যে নজিরবিহীন বিভেধ তৈরি হয়েছে। ঘরে ঘরে, মসজিদে মসজিদে ফাসাদ তৈরি হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি এবারও ইজতেমা উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশে আসলে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হবে। শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ নস্যাৎ হয়ে যাবে। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি, মাওলানা সা'দ সাহেবকে কোনভাবেই যেন বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া না হয়।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস ও প্রচার সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারীর যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মুফতী জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মাওলানা আবদুল বাছির, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ময়মনসিংহ, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী, মুফতী হাবিবু রহমান কাসেমী, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মুফতী মোবারক উল্লাহ, মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আতাউল্লাহ আমিন, হেফাজতের  বিলুপ্ত কমিটির সহকারী মহাসচিব  মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান, সদ্য কারামুক্ত মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি আবদুর রহীম কাসেমী, জামিয়া নূরিয়ার শিক্ষক মুফতি সুলতান মুহিউদ্দন, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা মাসুদুল করীম,  মাওলানা ফয়সাল,  মুফতী ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা মুসতাকিম বিল্লাহ হামিদী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মাওলানা খালেদ বিন নূর প্রমুখ।