| |
               

মূল পাতা জাতীয় বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে : কৃষিমন্ত্রী


বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে : কৃষিমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     05 December, 2022     06:12 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করে আর হুমকি দিয়ে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন হবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ হবে। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না, বাড়াবাড়ি করতে চাইলে মতিঝিল থেকে হেফাজত যেরকম ভাবে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, সেরকম পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনক্রমেই অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে সরকারের পতন হবে না। সরকারের পতন ঘটাতে চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আজ (৫ ডিসেম্বর) সোমবার ঢাকায় খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-কেআইবি মিলনায়তনে মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও’র সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ।

মাটির টেকসই ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানীদেরকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। মাটির টেকসই ব্যবহার করতে হবে। বিজ্ঞানীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনেও হাতেকলমে বা মাঠের শিক্ষা নিতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের সঙ্গে মাঠের সম্পর্ক খুবই কম। শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে মাঠপর্যায়ে গিয়ে শেখাতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আধুনিক ডেইরি ফার্ম নেই, পোল্ট্রি ফার্ম নেই। মন্ত্রী কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। কারিকুলাম প্রণয়নে পরামর্শ দেন, কারিকুলাম আপডেট করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার জানান, দেশের শতকরা ৩৩ ভাগ জমি অবক্ষয়িত। টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শতকরা ৫৮ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। ২০৫০ সালের খাদ্য চাহিদা মেটাতে হলে বর্তমানের চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে।

পরে কৃষিমন্ত্রী ‘ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান করেন। এবছর সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এসএম ইমামুল হক, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এমএ সাত্তার ও কৃষক গোলাম রব্বানী। বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার পেয়েছেন মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ছাব্বির হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা করুণা মন্ডল।