| |
               

মূল পাতা সারাদেশ জেলা ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস


৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস


ওসমান হারুনী     04 December, 2022     08:30 AM    


জামালপুরের বক্শীগঞ্জ ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ ৪ ডিসেম্বর । ১৯৭১সালে আজকের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দূর্গের পতন হয়।

এ উপলক্ষে আজ (৪ ডিসেম্বর) রবিবার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সাথে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি।

জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ৮দফা সম্মুখযুদ্ধ হয়।

৩১জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। তৎকালীন ৩১জুলাই সম্মুখযুদ্ধে পাক বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাৎ বরণ করেন। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪নভেম্বর হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন। অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মির্ধাপাড়া মোড়ে সম্মুখযুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের একটি পা হারান। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক।

১০দিন যুদ্ধের পর ৪ডিসেম্বর সকাল ৮টায় সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) পাক বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডারপত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ময়মনসিংহ জামালপুর বকশীগঞ্জ