রহমত নিউজ ডেস্ক 03 December, 2022 07:32 PM
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দুর্নীতি বা অনিয়মের যে বিষবৃক্ষ সেটার ডালপালা ছেঁটে দেয়া হয়েছে কিন্তু বিষবৃক্ষটা ঠিকই আছে। এইখানে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। অথচ তারা তা করতে পারেনি। একটা তদন্ত করল কিন্তু কারা দায়ী সেটা বের করতে পারল না। তাহলে এটাতো নামকাওয়াস্তে তদন্ত। গাইবান্ধায় রাঘব-বোয়ালরা পার পেয়ে গেছেন। ইসির জালে আটকা পড়েছেন চুনোপুঁটিরা। এই নির্বাচন বার্তা দিয়েছে, যারা ক্ষমতাসীন বা রাঘববোয়াল তারা অন্যায় করেও সহজে পার পেয়ে যাবে।
আজ (৩ ডিসেম্বর) শনিবার বিকালে রংপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে এসে আরডিআরএস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সুজনের রংপুর মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু, হাঙ্গার ও সুজনের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু প্রমুখ।
সুজন সম্পাদক বলেন, গাইবান্ধা ৫-আসনের উপনির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে যেভাবে অনিয়ম উৎখাত করেছে, তা একটি ইতিহাস। পুরো নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বাতিল করে তদন্ত কমিটি গঠন করাও ইতিহাস। তবে তদন্তে যা বেরিয়ে এসেছে, তা খুব একটা ইতিবাচক নয়। সেখানে রাঘববোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেল, ধরা পড়ল চুনোপুঁটিরা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ইভিএম কার্যকর নয়, এটা একটা দুর্বল এবং জালিয়াতির যন্ত্র। এই যন্ত্র দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ফলাফল চায়, তাই সম্ভব। এটাতে যাচাই-বাছাই, অডিট করা এবং ফলাফল পুনর্গণনা করার সুযোগ হবে না। ইভিএম ব্যবহার করে বাহিরের কেউ জালিয়াতি করতে পারবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে স্যুট-কোট পরিহিতের দিয়ে জালিয়াতি করা সম্ভব। অর্থাৎ যারা বেড়া তারাই ক্ষেত খাবে।
তিনি আরো বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে ইভিএম এবং ২৯৪টিতে ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। এতে ব্যালেট পেপারে ৮১ শতাংশের মতো ভোট কাস্ট হয়। আর যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছিল, সেখানে ভোট কাস্ট ছিল ৫১ শতাংশ। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে আগের বারের চেয়ে এবার ইভিএমে নির্বাচন হওয়াতে ভোটের হার অনেক কম ছিল। এই যন্ত্র দিয়ে মানুষ ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়। এটা ব্যবহারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এখন যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সংহতিপূর্ণ নয়। এটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের প্রতিফলন। আসলে কোন খেলা হবে সেটা আমরা নিজেরাও জানি না। রাজনীতি হচ্ছে জনকল্যাণের পেশা, মানুষের মঙ্গল করার পেশা। অথচ এটা এখন খেলাতে পরিণত করা হয়েছে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রংপুর