মূল পাতা রাজনীতি জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রওশন এরশাদ
রহমত নিউজ ডেস্ক 27 November, 2022 04:55 PM
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, দলের ঐক্য বজায় রাখতে জাতীয় পার্টিকে বিভক্ত করার কোনো ইচ্ছা নেই। জিএম কাদেরের বিমানবন্দরে আসেনি তো, কী হয়েছে? ওনার কোনো সমস্যা আছে মনে হয়। এতে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না।
আজ (২৭ নভেম্বর) রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ৫ মাস থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশে ফেরেন রওশন। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ।
রওশন এরশাদ বলেন, আমি সবসময় জাপার ঐক্য চাই। আমার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমি দেখেছি, গত ৩২ বছরে দলের নেতাকর্মীরা কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। পার্টিকে বিভক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি। সব এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে বসব। আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারব। পার্টিকে দুর্বল করতে কিছু ষড়যন্ত্র হতে পারে। যেমনটি ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০১৪ সালে দেখেছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেই ষড়যন্ত্রগুলোকে নস্যাৎ করব এবং ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলবো। জাতীয় পার্টির জন্য যারা কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম এবং অন্যদের সঙ্গে যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবঝি দূর করতে বসবো। আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো। ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির অধীনে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, আমাদের নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমি ও আমার নাবালক সন্তানসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল খেটেছিলাম। তখন আমাদের জনসভাও করতে দেয়া হয়নি। ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অনেক জনসভায় হামলা চালিয়ে কতশত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অন্ধকার দিনগুলো আমরা ভুলবো কী করে? তাছাড়া আমরা তাদের শাসনামলে ‘হাওয়া ভবনের’ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপতৎপরতা দেখেছি। আমি জাতীয় পার্টির সব সদস্যকে খোলা মনে আহ্বান জানিয়েছি, যারা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান মঞ্জু, কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে গেছেন এবং নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের ফিরে আসার জন্য। ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের আমাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি আরো বলের, বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন, দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমি নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন। আমি এখন ঠিক আছি, কিন্তু পায়ে কিছু সমস্যা আছে। ফিজিওথেরাপি নিচ্ছি। ব্যাংককে আমার চিকিৎসার সময় সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।