| |
               

মূল পাতা সারাদেশ রাজধানী ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র


ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 November, 2022     05:15 PM    


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা করা হবে। আমি ২০টি অফিস, স্কুল, কলেজ, শপিংমল, হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করবো। দেখবো সেখানে ফায়ার সেফটি আছে কি না। যদি না থাকে বলবো তোমাদের সময় দিলাম। এই সময়ের পরে যদি ফায়ার সেফটি না থাকে তাহলে ভবনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বাসায় ডেঙ্গু থাকলে যদি ফাইন করতে পারি, রাস্তার রড থাকলে যদি ফাইন করতে পারি, তাহলে ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে কেন জরিমানা করতে পারবো না?

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র-বিআইসিসি আয়োজিত অষ্টম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২২ গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ইসাব’র সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, ইসাবের যুগ্ম সচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রণব সাহামহাসচিব মাহমুদুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বারবার বলার পরেও যদি ভবনগুলোতে ফায়ার সেফটি না থাকে, তবে তাদেরও ফাইন করবো। নগরীর সরু সড়ক বড় করা হচ্ছে, ছোটখাটো রোড বড় হচ্ছে। ২০ ফিট রোড হতে হবে, না হলে কোনো ধরনের ফান্ড দেবে না। ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেতে ভবন ভেঙে রোড বড় করা হচ্ছে। বড় রোড না হলে আমরা সড়ক ঠিক করে দেবো না। পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি নিশ্চিত হয়েছে, আমি বিজিএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরে রানা প্লাজায় বড় ডিজাস্টার। আমরা পোশাক কারখানাগুলোকে একটি সিস্টেমের মধ্যে এনেছি। আমরা যখন গার্মেন্টস শুরু করেছি তখন এটা ছিল না। আমরা পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করছি। বিশ্বের ১০টা গ্রিন কারখানার মধ্যে আটটিই বাংলাদেশে। গার্মেন্টস যদি ট্রান্সপারেন্সি করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরকে কেন পারবো না। নগরীর নাগরিকদের সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং প্রভাইড করবে সিটি করপোরেশন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, ফায়ারের প্রথম যখন খবর পাই, তখন পুলিশের মাধ্যমে রাস্তা ক্লিয়ার করে আমরা মুভ করি। যেভাবে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে তাতে করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ফায়ার সেফটির জন্য। আমি মনে করি সার্ভিসের সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে। ভবন নির্মাণ করতে সবাই চায়। কিন্তু সেফটিতে কেউ টাকা খরচ করতে চায় না। সেফটিতে ইনভেস্ট করতে হবে। আমাদের রেগুলেটারি বডির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেমিক্যালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অথরিটি নেই, নেই কোনো আইন। এটা জরুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। কারিকুলামে এই বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রশিক্ষণাগার তৈরি করতে হবে।

নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সেফটির বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। সচেতনতার জন্য রেগুলার ট্রেনিং দিতে হবে। সচেতন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি এই বিষয়ে সরকারকে বাধ্য করেত। বর্তমানে ফায়ার সেফটির কোনো বিকল্প নেই। এই বিষয়ে শিল্প কারখানা রেগুলার মনিটরিং করতে হবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করছে ও বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। সচেতনতার জন্য ইনফোর্স করতে হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে ফায়ার সেফটির বিষয়ে।  আগুন ধরার অন্যতম কারণ গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রতিবছর ইলেকট্রিক ও লিফট মেইনটেইন করতে হবে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: ঢাকা ঢাকা