| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার ছিন্নমূল মানুষের পুর্নবাসনে বদ্ধপরিকর : ডেপুটি স্পিকার


সরকার ছিন্নমূল মানুষের পুর্নবাসনে বদ্ধপরিকর : ডেপুটি স্পিকার


রহমত নিউজ ডেস্ক     23 November, 2022     07:40 AM    


একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ শামসুল হক টুকু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই জাতির জন্য তিনি প্রস্তুত করেছিলেন সংবিধান। সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, আজ যিনি জম্মগ্রহন করবেন, তিনি রাষ্ট্রের মালিক। তার মৌলিক অধিকারের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। তাই বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষের আবাসন, শিক্ষা, নাগরিক সুবিধা ইত্যাদি কার্যক্রম উন্নয়ন সহযোগী ও জনগনকে সাথে নিয়ে সরকার বাস্তবায়ন করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে সরকার বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষের পুর্নবাসনে বদ্ধপরিকর।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর-সিইউপির উদ্যোগে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নগর অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও বৈষম্য নিরসনে করণীয় ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর এর সভাপতি ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত এমপি, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর গ্রেটা ফিডজেরাল্ড, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ, সিইউপির নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত প্রমুখ।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বস্তি উচ্ছেদ করলেও আগে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য প্রতিটি বিষয়ের সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। নিজ নিজ স্থানে সবাই কাজ করলে দুর্নীতির পথ সংকুচিত হবে এবং সঠিক স্থানে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছাতে পারবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। কলকারখানা জাতীয়করণ ও ভূমি সংস্কার আইন করেন। গড়ে তোলেন সমবায় ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। বঙ্গবন্ধুর দেশ পুনর্গঠনের সেই কাজকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাতকে কাজে লাগাতে পারলেই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে।

তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা মহামারীতে প্রায় ৩০ হাজার লোক মারা গেলেও কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিটুজি’ এর মাধ্যমে প্রতিটি নিম্ন আয়ের মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। আপনাদের সুপারিশগুলো সরকারের পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং আমরা যেনো কারো কথায় কিংবা লোভে বিভ্রান্ত না হই। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।