| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল সেবার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে : জেবেল গানি


সেবার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে : জেবেল গানি


রহমত নিউজ     06 November, 2022     07:08 PM    


বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, রাজনীতি যখন দেশ ও জনগণের প্রতিপক্ষ হয় তখন সেটা রাজনীতি থাকে না, থাকতে পারে না। জনগণের কল্যাণেই রাজনীতির স্বার্থকতা নিহিত। সেবার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। মওলানা ভাসানী, যাদু মিয়াদের জনকল্যাণের রাজনীতি জনগনের কাছে পৌছে দিতে হবে।

আজ (৬ নভেম্বর) রবিবার নীলফামারীর ডিমলায় ৪ নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হতে বাংলাদেশ ন্যাপে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ৩শতাধিক নেতা-কর্মী দলে যোগদান করেন। বাংলাদেশ ন্যাপ ডিমলা উপজেলা উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিক মাহফুজার রহমান মুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

জেবেল গানি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। বাংলাদেশ ন্যাপ দেশ ও জনগণের কল্যাণেই রাজনীতি করে। এটা আমাদের দায়িত্ব। জাতীয় যেকোনো সংকট মোকাবিলায় আমাদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোন আপোষ নাই। জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ ও সংকটে এগিয়ে আসার মধ্যেই রাজনীতির সার্থকতা। সেবার ব্রত নিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সুন্দর কর্মের মধ্যে স্বার্থকতা খুঁজতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলছে, বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। অভাব ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে আজকের জনজীবন দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্য অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে গণবিরোধী ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট এখন সরকার নিয়ন্ত্রন করছে। সরকারের ভিতর লুটেরাদের সহযোগিতায়ই সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট শুধু বাজার নয়, সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর ও মজুদদারদের পাহারাদার হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের ডিমলা উপজেলা আহবায়ক জাকারিয়া হোসেন রাজু, সদস্য সচিব মোফাক্কারুল ইসলাম পেলব, উপেদেষ্টা আবদুর রহমান, ওয়াহেদুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক বিশ্ব নাথ সিংহ রায়, আমজাদ হোসেন লিখন, আব্দুল মতিন, দুলাল ইসলাম, আব্দুস শুক্কুর, মুজিবুর রহমান বুলবুল, ডা. বিপুল, লুৎফর রহমান, ডোমার উপজেলা সমন্বয়কারী বাবু জগবন্ধু রায়, ফিরোজ পারভেজ উজ্জ্বল, সদ্য যোগদান কারী জাকারিয়া হোসেন ডিএম, আলী হোসেন রাজু, ওয়াসিম বারী নয়ন, মশিউর রহমান বুুলু, মনোয়ার হোসেন, ডা. লেলিন প্রমুখ।