| |
               

মূল পাতা জাতীয় হয়ত লজ্জা শরম আপনাদের মাঝে নাই; বিএনপির সাংসদের নসরুল হামিদ


হয়ত লজ্জা শরম আপনাদের মাঝে নাই; বিএনপির সাংসদের নসরুল হামিদ


রহমত নিউজ     01 November, 2022     08:33 PM    


বিএনপি সংসদ সদস্যদের বিদ্যুত ও জ্বালানি নিয়ে সংসদে কথা না বলার অনুরোধ করে নাইকো, সিদ্দিরগঞ্জ ও খাম্বা কোম্পানীর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিদ্যুত-জ্বালানী খাতে বিএনপির দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে। তারেক রহমান যে পরিমাণ লুটপাট করেছে সেই হিসাব আমাদের কাছে আছে। নির্বাচন সামনে আসছে, প্রস্তুত থাকেন। সব দেখাব। আমি জানি না কোন মুখে আপনারা কথা বলার সাহস করেন। হয়ত লজ্জা শরম আপনাদের মাঝে নাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বলতে পারবো। তথ্য না শুধু প্রমাণাদিসহ।

আজ (১ নভেম্বর) মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বলেন, ‘সংসদ সদস্য (হারুন) অনেক উত্তেজিত হয়ে গেছেন। অনেকে সত্য কথা সহজে নিতে পারেন না। আমিও চাই সংসদে সময় দেন। সেখানে জ্বালানি নিয়ে কথা বলব। নাইকো মামলা নিয়ে যে পরিমাণ প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। তাদের নেতা তারেক রহমানের বন্ধু এফবিআই’র কাছে যে পরিমান ওপেন সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সেগুলো আমরা দেখাবো। সেই সময় আমি তার (হারুনের) বক্তব্য শুনতে চাই তিনি কী বলেন। সিদ্দিরগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে সেগুলোর প্রমাণপত্র আমাদের হাতে আছে। সেগুলোই ডকুমেন্টসহ সংসদের ভিডিও স্ক্রিনে তাদের দেখাবো। বিএনপি জোট সরকারের সময় অন্ধকারে ১৭ ঘণ্টা ছিলেন। উনি বিদ্যুতের দামের কথা বলেন। অন্ধকারে থাকার যে কষ্ট, সেই কষ্টের কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র সময়ে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কত ছিল তা কী হারুনুর রশিদ জানেন? উনি ভুলে গেছেন। ৪৪ শতাংশ অপচয় ছিল। এটা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে। পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন কি খামোখা হয়েছে তারা। বাংলাদেশ এখন ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ উদাহারণ হয় বিশ্বের কাছে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। আর ওনারা করেছেন দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। ঘণ্টার পর ঘন্টা শেষ হয়ে যাবে যদি বক্তব্য দিতে হয় তাদের ব্যাপরে। বিএনপিতো খাদ্যই দিতে পারে নাই। গুলি করে মানুষ মেরেছেন। আবার দামের কথা জিজ্ঞেস করেন। আপনারা বিদ্যুতই দিতে পারেন নাই ১৮ ঘন্টা। কানসাটে গুলি করে মানুষ মেরেছেন।’ আমার এখনো মনে আছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া টঙ্গিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় পৌঁছাতে পারেননি, সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।