| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার উপকূলের ২২৭৭ বর্গকিলোমিটার চর বনায়ন করা হয়েছে : পরিবেশমন্ত্রী


উপকূলের ২২৭৭ বর্গকিলোমিটার চর বনায়ন করা হয়েছে : পরিবেশমন্ত্রী


রহমত নিউজ     26 October, 2022     04:30 PM    


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকার সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝূঁকি মোকাবেলায় বহুমূখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকার উপকূল জুড়ে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি করছে। উপকূলীয় এলাকায় এযাবত ২ হাজার ২৭৭ বর্গকিলোমিটার চর বনায়ন করা হয়েছে।

আজ (২৬ অক্টোবর) বুধবার  জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব মিলনায়তনে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মুল। সংলাপে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা, দাতা সংস্থা, গবেষক, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিরিা বক্তব্য রাখেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষার ৫২ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখান থেকে সকল ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ডলফিন, কূমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষায় অভয়ারণ্য ঘোষণাসহ বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বনজীবী, বনকর্মী ও বন্যপ্রাণীর খাবারের পানির জন্য ৪ টি নতুন পুকুর ও ৮৪টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলেই কেবল আমরা সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি হ্রাস করতে সক্ষম হবো।