| |
               

মূল পাতা শিক্ষাঙ্গন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কড়া বার্তাসহ শিক্ষকদের ৯ নির্দেশনা


সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কড়া বার্তাসহ শিক্ষকদের ৯ নির্দেশনা


রহমত নিউজ     23 October, 2022     10:32 PM    


সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর-মাউশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধু বাছাইয়ে সতর্ক থাকাসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিববার (২৩ অক্টোবর) মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

৯ নির্দেশনা হলো-

১. সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড এবং কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনোরকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড এবং কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে, এমন কোনো পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫. লিঙ্গবৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।

৬. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না।

৭. ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮. অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যসংবলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড এবং কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘কন্টেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। সে জন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো-ব্যানবেইস ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক রয়েছেন।