‘বস্ত্র প্রকৌশলীদের সহায়তা দিতে যা যা করণীয় তাই করা হবে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বস্ত্র প্রকৌশলীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। বস্ত্র প্রকৌশলীদের সহায়তা দিতে যা যা করণীয় তাই করা হবে। আমরা চাইনা বিদেশিরা দেশের ডলার নিয়ে যাক। দেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগালেই ৬ বিলিয়ন ডলার বাইরে যাবে না। সেই জন্য বস্ত্র প্রকৌশলীদের আরও বেশি সচেষ্ট হতে হবে। দেশে বিদেশি কর্মী দরকার বা দরকার নেই তা নির্ধারণ করবেন আপনারাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে বিদেশি কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, সময়ের বেশি এদেশে অবস্থান করছে কিনা। বস্ত্র প্রকৌশলীরা বেকার থাকে না। আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েকে সহায়তা করতে পারেন। বস্ত্র পোশাক শিল্পের পরিবেশ সুন্দর করে দেন। যেখানে আপনাদের আইনগত সহায়তা দরকার সেখানে আপনাদের সঙ্গে থাকবো। আপনারা গবেষণা করবেন। এই শিল্পের উন্নয়ন করবেন এটাই প্রত্যাশা।

আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার আইইবির সদর দফতরের কাউন্সিল হলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-আইইবি'র টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বস্ত্র এবং তৈরি পোশাক শিল্পে বিদেশি কর্মীদের আধিপত্য-আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কাঠামো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযাদ্ধা এবং বস্ত্র প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম. এ. কাসেম, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, আইইবির টিইডি আইইবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম নুরুল ইসলাম, আইটিইটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিকুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার এস. এম, সিরাজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন শীবলু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব নবী খান।