| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল ‘সরকারের নতজানু নীতির কারণেই মিয়ানমারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’


‘সরকারের নতজানু নীতির কারণেই মিয়ানমারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’


রহমত ডেস্ক     17 September, 2022     08:09 PM    


বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গুলিবর্ষণে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকারের নতজানু ও দুর্বল কূটনীতির সুযোগে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, সরকারের দুর্বল কূটনীতির সুযোগে গত ২৮ আগস্ট শুরু হওয়া মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, শুক্রবার মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু। অকারণে নিরীহ রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গোলাবর্ষণের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর এই হামলা ক্ষমার অযোগ্য।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল ছোড়ার এক সপ্তাহের মাথায় গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারংবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটারের ভেতরে পড়ে বিস্ফোরিত হয় যা সরাসরি আন্তরজাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। সীমান্তে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা ও সর্বশেষ নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চরমোনাই পীর।