সরকার জনগণের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকার জনগণের নাগরিক ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দেশময় অশান্তি ও মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের শিক্ষা দেয়। অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই। তিনি সকলকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আজ (২ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনে ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং মুফতী মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ ছিদ্দিকুর রহমান, এইচএম রফিকুল ইসলাম, হাফেজ সৈয়দ ওমর ফারুক প্রমূখ।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে বিরোধী নেতৃবৃন্দকে দমনপীড়ন এবং হত্যার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, হিংসাত্মক রাজনীতি পরিহার করা সকলের জন্যই উচিত। সরকার বিরোধদের নিয়ে করুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু যে রাজনীতি মানুষের জানমালের ক্ষতি করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে তা কারো কাম্য হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন,শ্রমিক আন্দোলন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। শ্রমজীবী মানুষ আজ অসহায়। তারা বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত। তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। ইসলামী আন্দোলন দেশে কল্যাণের রাজনীতি করছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতিতে আকুন্ঠ নিমজ্জিত। দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করছি।