| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের গর্ভে বিএনপির জন্ম : ওবায়দুল কাদের


নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের গর্ভে বিএনপির জন্ম : ওবায়দুল কাদের


রহমত ডেস্ক     29 August, 2022     06:53 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ধৈর্য্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। আমাদের দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ ও গণতান্ত্রিক ঔদার্য্য নিয়ে সহনশীল আচরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এরই সুযোগে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী মাঠে নামিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশে ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছে। এদেশে হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রতিভূ এবং পৃষ্ঠপোষক হলো বিএনপি। বিএনপির জন্মই হয়েছে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের গর্ভে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা- এবং ৩ নভেম্বর জেল খানায় চার জাতীয় নেতা হত্যার পর ষড়যন্ত্রের পথ বেয়ে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধ ও অসাংবিধানিভাবে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বিএনপি নামক দুর্বৃত্তায়নের সাংগঠনিক চক্র সৃষ্টি করে। আজ (২৯ আগষ্ট) সোমবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ফৌজদারি মামলার আসামীদের মাঠে নামিয়ে বিএনপি দেশে ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। যে সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদেরকে মাঠে নামিয়ে বিএনপি ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বিএনপি দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে একটি সাংবিধানিক ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় সারাদেশে আন্দোলনের নামে তারা সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। একইভাবে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের নিকট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। স্বৈরাচার জিয়ার বিএনপি একদিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাকর্মীদের উপর হত্যা, খুন, অত্যাচার-নির্যাতন ও নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে বাঙালি জাতিকে ঘোর অন্ধকারের যুগে নিমজ্জিত করে। ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-০৬ সময়কালে বিএনপির শাসনামলে নির্বিচারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়; বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর বিভীষিকাময় অত্যাচার-নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে বিভিন্ন সময় একের পর এক হামলা পরিচালিত হয়। যার ভয়াবহ রূপ উন্মোচিত হয় বিএনপির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে পৃথিবীর কোথাও এমন ভয়াবহ ও বীভৎস হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়নি। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ও রাজনৈতিক আচরণ দেখে মনে হয়, তারা তাদের অতীতের এই হীন কর্মকা-ের জন্য অনুতপ্ত নয়; বরং তারা হত্যা ও খুনের রাজনীতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য স্লোগান দেয়- ’৭৫-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার! এবং ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে দুঃশাসনের অন্ধকার যুগে তারা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিতে চায়।  অন্ধকারের অপশক্তি বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় যেমন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল, অপরদিকে বিরোধীদলে থেকে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা হাওয়া ভবন খুলে বাংলাদেশকে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল; দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ^চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল   এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে লালন-পালন করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। সে কারণে বিএনপি যে কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে ভয় পায়।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও অপকৌশল বাস্তবায়নের সম্ভাবনা না দেখলে তারা নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে না। অন্যদিকে পলাতক আসামী তারেক রহমান ও বিএনপি হাওয়া ভবনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর দ্বারা বিদেশে অর্থপাচার করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যবহার করছে; দেশের অগ্রগতি ও জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকা-ে ব্যয় করছে। সেই অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে অপপ্রচার, গুজব, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। করোনা মহামারি ও ইউরোপে যুদ্ধের কারণে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার ভয়াবহ অভিঘাতে বৈশি^ক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকার যখন জনগণকে সাথে নিয়ে এই সঙ্কট মোকাবিলায় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে; দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। সরকার জনগণের জানমাল রক্ষা, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।