| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত র‍্যাব পুনর্গঠন না করলে নিষেধাজ্ঞা উঠবে না: মার্কিন রাষ্ট্রদূত


র‍্যাব পুনর্গঠন না করলে নিষেধাজ্ঞা উঠবে না: মার্কিন রাষ্ট্রদূত


রহমত ডেস্ক     17 August, 2022     01:25 PM    


জবাবদিহিতা ও পুর্নগঠন ছাড়া উঠছে না র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা। তবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সামরিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন এই কূটনীতিক।

বাংলাদেশে ৫ মাসের অভিজ্ঞতায় জেনেছেন এদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অসাধারণ। সেই কারণেই বাংলার ঐতিহ্য নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক কেমন আছে আর কীভাবেই বা উঠে যাবে এই নিষেধাজ্ঞা, সে বিষয়ে কথা বলেছেন এই কূটনীতিক। পিটার হাস বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি স্বস্তিদায়ক নয়। তবে অবশ্যই এটি দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষুদ্রতম বিষয়। ফলে এটির তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। আমি আগেও বলেছি, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তখনই উঠবে, যখন বাহিনীটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও এর পুনর্গঠন হবে।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে তার সরকার। একই সাথে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে এখনও নানাভাবে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্পর্কোন্নয়নের জন্য প্রতি বছর আমরা মিলিয়ন ডলার অর্থ সহযোগিতাও করছি। অপরাধ দমন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।

সামরিক খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহারে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জিসোমিয়া ও আকসা’র মতো চুক্তির গুরুত্বও তুলে ধরেন পিটার হাস। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো খুবই ভিত্তিগত চুক্তি। ধরা যাক, বাংলাদেশের কোনো জাহাজ গভীর সমুদ্রে জ্বালানি সংকটে পড়লো। আমরা এই চুক্তির কারণে যত দ্রুত সম্ভব জ্বালানি সরবরাহ করবো। আবার আমাদের কোনো জাহাজের খাদ্য ও সরঞ্জাম নিয়ে সহযোগিতা দরকার হলে বাংলাদেশ করবে। এটা দুই দেশের জন্যই উপকারী।

তবে সামনের দিনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় যাবে, এমন দৃঢ় প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন বাইডেন প্রশাসনের এই কূটনীতিক। যমুনা টেলিভিশন।