| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


ফাইল ছবি

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত ডেস্ক     12 August, 2022     05:04 PM    


গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে—একটি পক্ষ এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই। তবে আমরা এই মুহূর্তে চ্যালেঞ্জে আছি। বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমরাও কিছুটা সংকটে। কিন্তু আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট আছে। আগামীর সংকট বিবেচনায় আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।'

আজ (১২ আগস্ট) শুক্রবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোমেন এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশিদের অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চাওয়ার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়া বলেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা করা বাংলাদেশিদের বিষয়ে কোনো তথ্য সরকার তাদের কাছে চায়নি। এসব বিষয়ে (তথ্য পাওয়ার বিষয়ে) কীভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে সরকারকে সব ধরনের তথ্য আমরা দিয়েছি। কিন্তু আলাদাভাবে অর্থ জমা করার বিষয়ে কোনো অনুরোধ আসেনি।”

এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “সে এটা মিথ্যা কথা বলেছেন। আজকে আমি জিজ্ঞেস করেছি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। উনি আগে অর্থসচিব ছিলেন। সেই সঙ্গে নতুন অর্থসচিবকেও জিজ্ঞেস করেছি। উনি (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর) বললেন, ‘আমরা আগেই তাঁদের কাছে তথ্য চেয়েছি। তাঁরা কোনো সাড়া দেননি।' আমি তখন বললাম, আপনি এটা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিন। এভাবে মিথ্যা কথা বলে পার পাওয়া উচিত নয়।"

সে ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুইস দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগে গভর্নর সাহেব বিবৃতি দিক। আমরা সেগুলো জানি। কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিক। তখন আমরা বলব।’

আজও সাংবাদিকরা বিষয়টির অবতারণা করে মোমেনের কাছে জানতে চান নতুন করে সুইস ব্যাংকের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চাওয়া হবে কি-না?

জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থপাচার হয় তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা তথ্য দিতে চায় না। এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা। অতীতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৭ জনের নামোল্লেখ করে সুইস ব্যাংকে তাদের অর্থের তথ্য চাওয়া হয়েছিল, সেসময় তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিল। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও রাষ্ট্রদূত বলছেন তথ্য চাওয়া হয়নি।"

সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্যের ‘বিভ্রাট’ না করার আহ্বান জানান।