| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘বাংলাদেশের প্রতি সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নজর রয়েছে’


‘বাংলাদেশের প্রতি সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নজর রয়েছে’


রহমত ডেস্ক     04 August, 2022     10:55 PM    


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিকাশ দেশের প্রথম ইউনিকর্ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্বের নামকরা বড়-বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। গত ৫ বছরে বাংলাদেশে ‘স্টার্টআপ’ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন বাংলাদেশের প্রতি সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নজর রয়েছে। তারা মনে করছে, বাংলাদেশ ইকোনমি গ্রো করছে, বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ তাদের জন্য লাভজনক হবে।

আজ (৪ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই মিলনায়তনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে টেক স্টার্টআপ এবং গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিগুলোর জন্য সম্ভাবনা এবং সুযোগ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়্যাতুল ইসলাম, বিএসইসি’র কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বক্তৃতা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সহায়তার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসিকে বিশ্বের নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে ৭ থেকে ১০মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিএসইসি’র জন্য বেশ কিছু ডিজিটাল সল্যুশন তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি বিভাগ থেকে সাড়ে ৩শ’ স্টার্টআপকে অফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিল, এদের মধ্যে কিছু কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি ৫ বছরেই শত মিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশে বর্তমানে ২ হাজার ৫শ’ সফল স্টার্টআপ কোম্পানি ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।

পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫শ’ কোটি টাকা দিয়ে স্টার্টআপ কোম্পানি গঠন করে দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের স্টার্টআপ কোম্পানিতে আরো ৫শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।সিড, গ্রোথ, গাইডেড ও টার্গেড - এই চার স্তরে স্টার্টআপকে বিন্যস্ত করে স্টার্টআপগুলোকে যথাযথ সহায়তা দেয়া গেলেই আগামীতে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ডিজিটাল ইকোনোমির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, গ্রোথ স্টেজের উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে স্টার্টআপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকে নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ঢাকা স্টাক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া এবং স্টার্টআপ’র পক্ষে এর বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।