| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার হবে


রোহিঙ্গাদের একটি জ্বলন্ত বসতবাড়ি

মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার হবে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     23 July, 2022     08:16 AM    


মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। রায়ে মিয়ানমারের করা আপত্তি আদালত খারিজ করে দিয়েছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করেছে, তার বিরুদ্ধে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করলে প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানায় তারা। এই আদেশের পর মামলা চলতে এখন আর কোনো বাধা রইল না। খবর এপির।

এর আগে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২২ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়) এর রায় পড়ে শোনান বিচারপতি জোয়ান ই ডনোগু। তিনি আইসিজে সভাপতি হিসেবে এ রায় দেন।

মিয়ানমার আদালতের ইখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললে আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার করার পুরো এখতিয়ার রয়েছে বলে ঘোষণা দেন।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের কয়েক লাখ মুসলিম সংখ্যালঘু। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রথমবার প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

এর আগে শুনানির দ্বিতীয় দিনে নিজ দেশের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করার সময় অভিযোগটি অস্বীকার করেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তবে রাখাইনে সহিংসতার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু তার মতে, এটিকে কোনোভাবেই গণহত্যা বলা যায় না। তিনি সূচনা বক্তব্যে বলেন, দুঃখজনক ভাবে গাম্বিয়া রাখাইনের একটি অসম্পূর্ণ চিত্র উপস্থাপন করেছে।

রাখাইনের পরিস্থিতি জটিল বলে উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা স্বীকার করেন সু চি। রাখাইনে হত্যা ও সহিংসতায় জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার ও শাস্তি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তির কথা তুলে ধরে বলেন, মিয়ানমারে সক্রিয়ভাবে অন্যায়ে জড়িত সৈন্য ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার হচ্ছে।

রোহিঙ্গা গণহত্যার এ মামলায় গাম্বিয়াকে সমর্থন করছে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ। এছাড়া, আইসিজে’তে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে গাম্বিয়াকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওআইসি।