রহমত ডেস্ক 21 July, 2022 10:02 AM
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বুধবার (২০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এ সব নির্দেশনার কথা জানান।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. সেন্ট্রাল এসির থার্মোস্ট্যাটযুক্ত অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণ করে থার্মোস্ট্যাট লক করা হয়েছে বিধায় তাপমাত্রা এর নিচে নামানো সম্ভব নয়। দুই ঘণ্টা অন্তর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে।
২. সেন্ট্রাল এসির নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামানো যাবে না।
৩. পানি ভবনের সবগুলো করিডোরের বাতি বন্ধ থাকবে।
৪. কক্ষের ডেস্কের ওপরে অবস্থিত লাইট ছাড়া অন্য সব বাতি বন্ধ থাকবে।
৫. কক্ষ ত্যাগের সময় বাতি এবং এসি বন্ধ থাকবে।
৬. পানি ভবনের ভেতরের সব গ্লাসডোর বন্ধ থাকবে।
৭. আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাস ডোরে লাগানো ফ্রোস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে।
৮. পানি ভবন ক্যাম্পাসের গার্ডেন বাতি বন্ধ থাকবে।
৯. পানি ভবনে তিনটি লিফট চালু থাকবে। বাকি সব লিফট বন্ধ থাকবে।
১০. আলো প্রবেশের সুবিধার্থে কক্ষের জানালার পর্দা সরিয়ে রাখতে হবে।
১১. ইলেকট্রিক কেটলি, ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
১২. দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. সকাল ৯টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকাল ৫টার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করতে হবে।
১৪. ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৫. জ্বালানি সাশ্রয়ে একই গাড়িতে একাধিক কর্মকর্তাদের অফিসে যাতায়াত উৎসাহিত করা হয়েছে।
১৬. সাইট পরিদর্শনে একাকী গাড়ি ব্যবহার কমাতে হবে।
১৭. প্রশিক্ষণ কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে।
১৮. মিটিং যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে।
১৯. গ্রিন রোডের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ভবনে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পুরো মন্ত্রণালয় বিদ্যুতের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য নামাজের সময় ছাড়া প্রতিটি মসজিদের এসি, দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অফিসের সভাগুলোও অনলাইনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাড়িতে তেলের ব্যবহার কমাতে হবে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হবে। পেট্রোল পাম্পগুলো সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হবে এবং বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার চিন্তাও করা হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।