রহমত ডেস্ক 19 July, 2022 08:57 PM
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেছে।
আজ (১৯ জুলাই) মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিএলআরআইর বাস্তবায়নাধীন 'বাংলাদেশে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ড. মো. আব্দুস সামাদ।
প্রাণিসম্পদ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হলেও সচেতনতার অভাব এবং মানুষ ও প্রাণীদের চিকিৎসাশাস্ত্র সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দেশে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। এটি প্রাণি ও মানুষ উভয়ের জন্য বিপন্ন অবস্থা তৈরি করতে পারে। অ্যন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। প্রাণিস্বাস্থ্য খারাপ থাকলে মানুষ নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কারণ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু প্রাণীর সুরক্ষার জন্য নয় বরং মানুষের সুরক্ষার জন্যও প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষা করা প্রয়োজন। সরকার চায় ওয়ান হেলথ সিস্টেম গড়ে উঠুক। কারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে প্রাণিস্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত।