রহমত ডেস্ক 07 July, 2022 09:59 PM
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবার ঈদুল আজহার জামাত নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুসুল্লিরা বাসা থেকে ওজু করে ঈদগাহ এবং মসজিদে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া সামাজিক দূরত্ব মেনে এক কাতার অন্তর অন্তর ঈদের জামাত আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। লোডশেডিংয়ের ফলে ঈদ উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ওজু করে ঈদগাহ বা মসজিদে যাবে। এক কাতার অন্তর অন্তর সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদের জামাত পরিচালনা করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।২. সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যেতে হবে।
৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. ঈদের নামাজের জামায়াতে যাওয়া মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে যেতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে দাঁড়াতে হবে।
৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৮. পশু কুরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৮৮ জনে। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯০ জনে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৭৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৮২২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এক জন করে মারা গেছেন। মৃতদের একজন পুরুষ, দুজন নারী।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।