| |
               

মূল পাতা জাতীয় আইন-আদালত শিক্ষক লাঞ্ছনা : নড়াইল সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার


শিক্ষক লাঞ্ছনা : নড়াইল সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার


রহমত ডেস্ক     03 July, 2022     12:44 PM    


নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রোববার (৩ জুলাই) সকালে প্রবীর কুমার রায় বলেন, খুলনা উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল (০২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে এ সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। শওকত কবীরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, এটি ডিআইজি বলতে পারবেন। আমি শুধু ক্লোজ (প্রত্যাহার) হওয়ার ম্যাসেজ পেয়েছি।গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে কয়েক’শ পুলিশের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ শ্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরানো হয়। শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর সময় থেকে পুলিশের গাড়িতে ওঠানো পর্যন্ত পুলিশি পাহারা দিচ্ছিলেন ওসি শওকত কবির।

এর আগের দিন ১৭ জুন ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুকে মহানবীও সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননাকারী ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে ছবিসহ একটি পোস্ট দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজশিক্ষক, ওই শিক্ষার্থীর বাবা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন সদস্যকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে শিক্ষার্থীকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যেতে চাইলে উত্তেজিত ছাত্র ও বহিরাগত কয়েকজন বাধা দেন। তখন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়।

বিকেল চারটার দিকে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং ওই শিক্ষার্থীকে কলেজের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে বের করা হয়। নিচতলার কলাপসিবল গেটের সামনে আনার পর তাদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২৩ জুন পুলিশ সুপার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও ক্রাইম) রিয়াজুল ইসলাম। ৩০ জুন তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।

সকালে পুলিশ সুপার বলেন, ৩০ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে তারা কাজ শেষ করতে পারেননি। তাই সময় নিচ্ছেন।